আপনি কি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় জানতে চান? এবং অনলাইন থেকে বেশ ভালো মানের ইনকাম করতে চান। তবে আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
এই পৃষ্ঠায় আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় গুলি সম্পূর্ণ জানতে পারবেন।
বিগত চার বছর ধরে আমি অনলাইন থেকে ইনকাম করে আসছি। ফলে আমি অনলাইনে ইনকাম করার বহু উপায় জানি।
আমার বিশ্বাস এই আর্টিকেলটি পড়ার পর অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং অনলাইন ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
আমি আপনাকে ১০ টি অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় বলবো যেগুলি আমি বর্তমানে করছি। এবং বেশ ভালো মত টাকা ইনকাম করতে পারছি।
আপনিও এগুলির মধ্যে থেকে যেকোনো একটি বেছে নিয়ে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলি হল

ব্লগিং (blogging)
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট না করে আপনার অভিজ্ঞতা লিখে শেয়ার করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।
ব্লগিং (blogging) হল বিভিন্ন উপায়ে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অর্থ উপার্জনের একটি উপায়।
এটি এমন একটি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকবেন তখনও উপার্জন হতে থাকবে।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এই বিষয়ে অন্য যে কোন আর্টিকেলে পড়ুন তারা ব্লগিং শুরু করার কথা অবশ্যই বলবে।
ব্লগিং কি
একটি ব্লগ হল একটি ওয়েবসাইটে অবস্থিত জার্নাল বা যেখানে মানুষ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করেন।
ওয়েবসাইটে এই প্রকার লেখালেখিকে ব্লগিং (blogging) বলে। যারা এই প্রকার লেখালেখি করেন তাদেরকে ব্লগার (blogger) বলা হয়।
যেমন বর্তমানে আমি আপনাকে আমার ব্লগ ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার বিষয়ে লিখে আপনাকে জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরো লিখব। এই কাজটাকেই ব্লগিং (blogging) বলে।
এই কাজটি আপনিও করতে পারবেন এবং যে কোনো ভাষাতেই করতে পারবেন।
কি বিষয়ে ব্লগিং (blogging) করবেন
প্রথমে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে বা দক্ষ হতে হবে।
ব্লগিং (blogging) করার অনেক রকম বিষয় রয়েছে রয়েছে, যেমন:- ফ্যাশন, প্রযুক্তি, খেলাধুলা, ভ্রমণ, সংবাদ, শিক্ষা ইত্যাদি।
আপনি যে বিষয়কে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে করেন তা দিয়েই ব্লগিং শুরু করতে পারেন।
কোথায় ও কিভাবে ব্লগিং করবেন
ব্লগিং (blogging) করার অনেকগুলি প্ল্যাটফর্ম আছে তারমধ্যে blogger.com অথবা wordpress.org এর মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করালে সবথেকে ভালো হবে।
ব্লগিং শুরু করতে যেকোনো একটি প্লাটফর্মে আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওখানে search engine optimised আর্টিকেল পোস্ট করা শুরু করতে হবে।
কিভাবে ইনকাম করবেন
আপনার মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে ব্লগিং করে টাকা আয় কিভাবে হবে? টাকা আয় করার অনেকগুলি পদ্ধতি আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ads network (AdSense, media.net, a-ads) এবং affiliate marketing (Amazon associate, hosting affiliate program) এর মাধ্যমে।
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন আপনি কোন ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে বা আমার সাইটটির মধ্যে বিভিন্ন ব্যানার আছে।
আসলে এগুলি হল বিভিন্ন এফিলিয়েট ব্যানার বা অ্যাড (ads)। যার মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট এর মালিকের ইনকাম হচ্ছে।
এই ব্যানার বা অ্যাড গুলির মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম হচ্ছে? ধরুন কোন ভিজিটর অর্থাৎ আপনি যদি কোন অ্যাফিলিয়েট ব্যানারে ক্লিক করে কোন জিনিস কেনেন তার থেকে আমি কিছু কমিশন পাব।
অপরপক্ষে যদি কোনো অ্যাড দেখেন বা ক্লিক করেন তার ফলে ads network গুলি কিছু টাকা দেয়। এভাবেই আমার বা আপনার ইনকাম হবে।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
ব্লগিং (blogging) এমন একটি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় যা আপনি ফুলটাইম ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে কত ইনকাম করতে পারবেন।
আসল কথা আপনার সাইটটিতে যত বেশি ওয়েবসাইট দর্শক আসবে তত বেশি অ্যাড (ads) দেখবে এবং তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং করতে কি কি শিখতে হবে
1. SEO (অন পেজ এবং অফ পেজ)।
2. মার্কেটিং।
3. WordPress বা blogger optimisation.
4. বিষয়বস্তু বা আর্টিকেল লেখা।
5. ব্লগিং কৌশল।
কিভাবে ব্লগিং (blogging) শুরু করবেন
প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরি করা খুবই সহজ।
যদি আপনি wordpress.org এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করেন তবে আপনাকে একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে।
অপরপক্ষে blogger.com এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করলে একটি ডোমেইন কিনে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
একটি ডোমেইন 70 টাকা দিয়েও কিনতে পাওয়া যায়। অথবা ফ্রি-তে তৈরি করতে চাইলে সম্পূর্ণ ফ্রি-তেও তৈরি করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতি YouTube এ সার্চ করে শিখে নিতে পারবেন এবং খুব সহজে ব্লগিং শুরু করে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটটি তৈরি হয়ে গেলে Google, Bing, Yahoo -এর মত সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটটিকে অ্যাড করতে হবে যার ফলে সার্চ ইঞ্জিনগুলির সার্চ রেজাল্টে আপনার সাইটটিকে পাওয়া যাবে। যার ফলে বিভিন্ন দর্শক আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।
সবশেষে SEO (search engine optimisation) করে আর্টিকেল পোস্ট করা শুরু করতে হবে এবং বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজে লিংক শেয়ার করতে হবে যাতে আরও বেশি পরিমাণে দর্শক আপনার ব্লগে আসে।
wordpress এর মাধ্যমে সাইট তৈরি করার সুবিধা
একজন নতুন হিসাবে blogger এ সাইট তৈরি করতে পারেন কিন্তু আমি বলব একটু খরচা করে wordpress এ সাইট তৈরি করতে।
blogger.com এটি গুগলের (Google) এর একটি প্রোডাক্ট। গুগোল যদি মনে করে লেখার মধ্যে যদি কোনো ভুল বা খারাপ কিছু লিখেছেন তাহলে আপনার আর্টিকেল গুলি ডিলিট করে দিতে পারে।
তাছাড়া AdSense এর ad revenue এ যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যায় তার 55% টাকা আপনাকে দেওয়া হয়।
অপরদিকে ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি আপনার নিজের পছন্দমত যেকোনো কাজ করতে বা লিখতে পারবেন কারণ এটি আপনার খরচ করে তৈরি করা সাইট যেখানে অন্য কারোর কন্ট্রোল নেই।
এক্ষেত্রে AdSense এর ad revenue 70% পর্যন্ত দেয়া হয়।
আজকালকার তরুণ প্রজন্ম এটি খুব পছন্দ করে। আপনি যদি সঠিক পণ্য চয়ন করতে পারেন তবে আপনি সত্যিই উচ্চ পরিমাণে মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি (what is affiliate marketing)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনার বন্ধু বা পাঠকদের কাছে পণ্য বা পরিষেবার সুপারিশ করার জন্য কমিশন উপার্জনের একটি উপায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে? (How to work affiliate marketing)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing) করার জন্য একটি এফিলিয়েট ট্রাকিং লিংক তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করা হয়।
যখন কেউ অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কে ক্লিক করে, কুকি নামে একটি ছোট ফাইল সেই ব্যক্তির ডিভাইসে সংরক্ষণ করা হয়।
তারপর যখন অ্যাফিলিয়েট লিংকটির মাধ্যমে একটি পণ্য কেনে, কোম্পানি বা ব্যবসায়ী দেখতে পারে যে পণ্যটি আপনার দ্বারা বিক্রি করা হয়েছে।
আজকাল অ্যাফিলিয়েটদের ট্র্যাক করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, তবে সবগুলিই আপনার বিশেষ ট্র্যাকিং লিঙ্কে ক্লিক করার উপর ভিত্তি করে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing) এর মাধ্যমে কত টাকা আয় করতে পারবেন?
আপনার আয় সরাসরি আপনি যে ধরনের অফার প্রচার করেন অর্থাৎ আপনার অনলাইন মার্কেটিং দক্ষতা যেমন ইমেল মার্কেটিং এবং SEO এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত হবে।
আসল কথা আপনার লিংক থেকে ক্রেতারা যত বেশি পণ্য কিনবে তত বেশি অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে কি প্রয়োজন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য আপনার একটি শ্রোতার (audience) একটি গ্রুপ প্রয়োজন যেখানে আপনি পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে পারেন।
এটি হতে পারে একটি ফেসবুক পেজ,গ্রুপ, ব্লগ ওয়েবসাইট, উচ্চ অনুগামী যুক্ত ফেসবুক প্রোফাইল, অথবা যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
অ্যাফিলিয়েট পন্যের প্রকার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আগে পন্যের প্রকার সম্বন্ধে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। পণ্য সাধারনত দুই প্রকারের হয় – ফিজিক্যাল পণ্য এবং ডিজিটাল পণ্য।
ফিজিক্যাল পন্য- দারাজ, আমাজন, ইবে -এর মতো প্রতিটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যে পণ্যগুলি পাওয়া যায় তা হল ফিজিক্যাল পন্য। কারণ এই পণ্যগুলি কিনলে গ্রাহকের কাছে পণ্যগুলি শারীরিকভাবে পৌঁছে দেয়া হয়।
ফিজিক্যাল পন্যের এফিলিয়েট মার্কেটিং করার একটি অসুবিধা আছে। এই জাতীয় পণ্যগুলি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চাইলে কমিশন খুব কম পাওয়া যায়।
কারণ বিক্রি হওয়া পণ্যটির মধ্যে শিপিং চার্জ সহ অনেক চার্জ থাকে ফলে আপনি কমিশন কম পাবেন। অপরদিকে ডিজিটাল পণ্যের উপর কমিশন বেশি পাওয়া যায়।
ডিজিটাল পণ্য- namecheap, bluehost এর মত hosting কোম্পানি গুলির পণ্যকে অর্থাৎ domain, hosting, wordpress theme এগুলিকে ডিজিটাল পণ্য বলে।
কারণ এই পণ্য কিনলে ছুতে পারবেন না কিন্তু ব্যবহার করতে পারবেন। এই পণ্যগুলি কিনলে ইমেইলের মাধ্যমে ডেলিভারি করা হয়। ফলে শিপিং চার্জ সহ কোন খরচা হয় না। তাই আপনি কমিশন বেশি পাবেন প্রায় 50% পর্যন্ত।
Daraz, Amazon, eBay -এর মতো প্রতিটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং namecheap, bluehost এর মত hosting কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য অ্যাফিলিয়েট সার্ভিস অফার করে এবং এফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট পাওয়া খুবই সহজ।
কিভাবে একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হবেন
• digital বা physical প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম খুঁজুন এবং যোগদান করুন।
• প্রচারের জন্য সঠিক অফারগুলি বেছে নিন।
• আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট, গ্রুপ বা পৃষ্ঠায় অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলি শেয়ার করুন।
• প্রতিবার কেউ আপনার লিংক থেকে কিছু কিনলে কমিশন উপার্জন করুন।
ইউটিউব থেকে আয় (as a youtuber)
ফেসবুকের পর ইউটিউব হচ্ছে ভিডিওর সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। আমরা সবাই ইউটিউব সম্পর্কে জানি।
ইউটিউব হল যেখানে আমরা অধিকাংশই নতুন জিনিস শিখি, তাদের আগ্রহের ক্ষেত্র অন্বেষণ করি এবং নিজেদেরকে বিনোদিত করি।
আসলে আমরা ইউটিউবে যা দেখি তা সবই কোনো একজন ব্যক্তি বা কোম্পানির তৈরি করা ভিডিও।
আপনিও ভিডিও তৈরি করতে পারেন এবং মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে অর্থাৎ ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন।
ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
ইউটিউবে ইনকাম হয় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন থেকে। আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন আনতে 1000 YouTube subscriber এবং 4000 ঘন্টা watch time সম্পূর্ণ করার পর গুগলের একটি প্লাটফর্ম AdSense এর কাছে বিজ্ঞাপনের জন্য আবেদন করতে হয়।
আবেদন করার সম্পূর্ণ হলে ভিডিওতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন আসে যার থেকে আপনার ইনকাম হবে।
তাছাড়া আরও অনেক পদ্ধতি আছে তার মধ্যে একটি হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ইউটিউব দিয়েও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।
আপনি যে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করবেন তার description এ কোন অ্যাফিলিয়েট পণ্যের লিংক দিয়ে দিলে তা থেকে ভিডিওর দর্শকরা পণ্যটি কিনবে যার থেকে আপনার ইনকাম হবে।
ইউটিউব থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়
AdSense এর 1000 বিজ্ঞাপন দেখার জন্য 1 থেকে 5 ডলার পর্যন্ত দেওয়া হয়।
1 ডলার কে টাকায় রূপান্তরিত করলে 70 থেকে 75 টাকা হয়।
অর্থাৎ আপনি আপনার ভিডিও যত বেশী ভিউজ অর্থাৎ যত বেশি লোক আপনার ভিডিওগুলো দেখবে ততবেশি আপনার ইনকাম হবে।
অপরদিকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কোন একটি পণ্যের বিক্রির ওপর 5 থেকে 40 শতাংশ পর্যন্ত লাভ আপনাকে দেওয়া হবে।
কি বিষয়ে ভিডিও তৈরি করবেন
আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোন বিষয়ে আগ্রহী। আপনি এবং আমিও কিছু বিষয়ে আগ্রহী।
এই বিশ্বে প্রচুর বিষয় আছে ভিডিও তৈরি করার জন্য, যথা:- ফ্যাশন, লাইফস্টাইল, খেলাধুলা, বিনোদন, খবর ইত্যাদি। ভিডিও তৈরি করার বিষয় অগণিত।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে কি কি শিখতে হবে
• আপনার আগ্রহী বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করুন এবং ক্রমাগত আরও এই বিষয়ে শিখুন।
• ক্যামেরায় ভিডিও তৈরি।
• ভিডিও এডিটিং।
• দারুণ কন্টেন্ট তৈরি করা।
• কৌশলগত এবং সৃজনশীল কাজ।
• কথা বলা এবং নেটওয়ার্কিংয়ে সর্বদা স্মার্ট থাকুন।
• ইউটিউব মার্কেটিং।
কিভাবে একজন ইউটিউবার হবেন
• একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন এবং এটি খুব ভালভাবে সেট আপ করুন।
• আপনার চ্যানেলকে পেশাদার চেহারা দিন।
• ক্রমাগত ভিডিও প্রকাশ করুন (মনে রাখবেন যে ইউটিউবে ভিডিওর পরিমাণের চেয়ে গুণমান বেশি প্রয়োজন)।
• যখন আপনি অ্যাডসেন্স প্রয়োগের লক্ষ্যে পৌঁছান তখন অ্যাডসেন্স অনুমোদনের জন্য আবেদন করুন।
• অনুমোদন পেলে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে উপার্জন শুরু করুন। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রথমদিন থেকেই করতে পারবেন।
ইউটিউবে সুবিধা ও অসুবিধা
বর্তমানে ইউটিউবে প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে। তাই আমি বলবো ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করা ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়কে বেছে নিন, যেমন ব্লগিং।
কারণ এখানে আপনি AdSense থেকে ইনকাম করতে পারবেন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও করতে পারবেন।
ফলে প্রতিযোগিতা অনেক থাকলেও দুটি থেকেই আপনার অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে হতে থাকবে।
কনটেন্ট রাইটিং (content writing)
কনটেন্ট রাইটিং আজকাল খুব প্রয়োজনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি কম প্রতিযোগিতামূলক এবং চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
কনটেন্ট রাইটিং (content writing) কি?
কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য লেখা। ব্লগিংয়ে অন্যদের সাহায্য করা।
ইন্টারনেটে 1.7 বিলিয়ন ওয়েবসাইট রয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় 547000 ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে।
তার মানে আপনার হাতে পেশাগতভাবে কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে।
কন্টেন্ট রাইটিং দিয়ে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে শুরু করার জন্য আপনার ইংরেজি বা বাংলা ভাষায় দক্ষতা প্রয়োজন (ইংরেজি লেখা তুলনামূলকভাবে বেশি অর্থ নিয়ে আসে)।
পেশাদার কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার জন্য আপনাকে শ্রোতাদের আকর্ষক, পাঠক বান্ধব এবং SEO optimised, plagiarism free কন্টেন্ট লিখতে সক্ষম হতে হবে।
কন্টেন্টগুলি বিক্রি করে কত টাকা পাবেন
সাধারণত আপনি প্রতি 1k শব্দের জন্য প্রায় $ 5 – $ 35 পাবেন। তবে এটি দেশ, ভাষা, দক্ষতা এবং আরও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।
আপনি যত বেশি লেখার শিল্প অর্জন করতে পারবেন ততই আপনার মান বাড়বে।
কন্টেন্টগুলি কোথায় বিক্রি করবেন
আপনি কনটেন্ট রাইটার হিসাবে fiverr, upwork ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে রেজিস্টার করতে পারবেন এবং ওখান থেকে আপনাকে কনটেন্ট লেখার কাজ দেওয়া হবে।
কনটেন্ট রাইটিং এবং ব্লগিং এর পার্থক্য
ব্লগিং হলো আপনার ওয়েবসাইটে কোন কন্টেন্টকে পাবলিশ করে তার থেকে ইনকাম করা।
অপরদিকে কন্টেন্ট রাইটিং হলো কন্টেন্ট লিখে অন্য কোন ব্লগার কে সাহায্য করা অর্থাৎ বিক্রি করা।
কি কি শিখতে হবে?
• কন্টেন্ট অপ্টিমাইজ করার জন্য SEO।
• পাঠক-বান্ধব নিবন্ধ লেখা।
• ব্যবহারকারী-আকর্ষক, আকর্ষণীয় এবং দুর্দান্ত লেখা।
কীভাবে একজন কনটেন্ট রাইটার (content writer) হবেন:
• জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট, সংবাদ, নিবন্ধ পড়ুন।
• পাঠক আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু লেখার চেষ্টা করুন।
• আপনাকে আপনার নিজের কথায় অনন্য বিষয়বস্তু লিখতে হবে এবং যেকোন মূল্যে কপি-পেস্ট এড়াতে হবে।
ডোমেন বিক্রি (domain flipping)
এখানে আপনাকে একটি ডোমেইন কিনে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে এবং পুনরায় বিক্রি করতে হবে। এইরকম ডোমেইন কেনা-বেচা ডোমেইন ফ্লিপিং নামেও পরিচিত।
এই অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার খুব লাভজনক পদ্ধতি। যখন আপনি আপনার ডোমেইন বিক্রি করেন তখন লাভের ভাগ 15-20 গুণ ফেরত আসে।
ডোমেন কি
একটি ডোমেন নাম হল একটি পাঠ্য যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে পৌঁছানোর জন্য তাদের ব্রাউজারের উইন্ডোতে টাইপ করে। উদাহরণ, গুগোল এর ডোমেই নাম হল ‘google.com’।
যারা ইতিমধ্যেই ব্লগিং শুরু করেছেন তারা অবশ্যই ডোমেইন কি জানে।
ডোমেন বিক্রি শুরু করতে কি প্রয়োজন
আপনাকে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে কিন্তু সেই বিনিয়োগ কখনো বৃথা যাবে না।
ধৈর্য এবং আগ্রহ পূর্ণ মন নিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম খুব সহজেই শুরু করতে পারেন।
কি কি শিখতে হবে
• বিনিয়োগ।
• ডোমেইন বিশ্লেষণ বা ডোমেইন রিসার্চ।
• ডোমেইনের উন্নতি।
কোন সাইটে ডোমেইন বিক্রি বা ফ্লিপিং হয়
আপনি NameCheap.com, Domain.com, GoDaddy, BlueHost এর মতো প্ল্যাটফর্মে ডোমেন কেনা-বেচা উভয়ই করতে পারেন।
কোথায় ও কিভাবে ডোমেইন বিক্রি করবেন
NameCheap.com এর মতো প্লাটফর্মে ডোমেইন কেনার জন্য অ্যাকাউন্ট খুলুন। Research করে বেছে নেওয়া ডোমেইনটি কিনে নিন।
এরপর ডোমেইনটির উপর কাজ করে domain authority (DA) এর উন্নতি করার চেষ্টা করুন। কোন ক্ষেত্রে এটি না করলেও হয়।
সবশেষে ডোমেইন বিক্রির প্লাটফর্মে ডোমেইনটি বিক্রি করার জন্য একটি অফার তৈরি করুন।
ডোমেইন বিক্রি হয়ে গেলে প্ল্যাটফর্মের কমিশন বাদ দিয়ে বাকি টাকাটি আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যাবে। আপনি খুব সহজেই পেপালের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন।
ডোমেইন বিক্রি করার সুবিধা ও অসুবিধা
বিভিন্ন কোম্পানির minimum withdrawal বিভিন্ন ধরনের। যদি Namecheap.com এর মাধ্যমে বিক্রি করেন তবে তাদের থেকে টাকাটি তুলতে হলে 100$ হলে তুলতে পারবেন।
তাছাড়া টাকাটি তুলতে আপনার পেপাল অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হবে।
ই-বুক বিক্রি (selling ebook)
আমার দেখা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম হলো ই-বুক বিক্রি।
এটি করার জন্য আপনাকে একজন উৎসাহী লেখক হতে হবে অর্থাৎ আপনার যদি লেখালেখি করার প্রতি উৎসাহ থাকে তবে আপনার লেখাগুলিকে নিয়ে একটি ই-বুক তৈরি করতে পারেন এবং বিক্রয় করতে পারবেন।
ই-বুক কি?
আমরা যখন বইয়ের কথা ভাবি ওখন সাধারণ মলাট দেওয়া বইয়ের চিন্তায় মাথায় আসে কিন্তু এটা ইন্টারনেটের যুগ তাই অনেকেই লাইব্রেরীতে গিয়ে বই পড়তে পছন্দ করেনা।
মোবাইলেতে ই-বুক ডাউনলোড করে সেগুলিকে পরতে পছন্দ করে। অর্থাৎ আপনি বুঝতে পারছেন যে ই-বুক হলে একটি বিশেষ বই যার সবকিছুই একটি বইয়ের মতনই কিন্তু এটি মোবাইলে ডিজিটাল আকারে পাওয়া যায়।
যদি আপনি এন্ড্রয়েড মোবাইলে প্লে স্টোর ওপেন করেন তবে লক্ষ্য করবেন বুকস নামে একটি অপশন আছে।
ওখানে ক্লিক করলেই আপনি অনেক ধরনের ই-বুক পেয়ে যাবেন যা আমার আপনার মত সাধারণ ব্যক্তিরাই তৈরী করে আপলোড করেছে।
কারা ই-বুক কিনবে?
প্রথমেই বলেছি বর্তমান ইন্টারনেটের যুগ আমরা মোবাইল দিয়েই বেশিরভাগ কাজ করতে পছন্দ করি তাই বর্তমানে অনেক গ্রাহক পেয়ে যাবেন যারা অনলাইন মাধ্যমে ই-বুক কিনে পড়তে পছন্দ করে।
কোথায় ও কিভাবে ই-বুক বিক্রি করবেন?
দু’ভাবে আপনি করতে পারেন –
১. নিজের ওয়েবসাইটে।
২. অ্যামাজন কিন্ডল ডাইরেক্ট পাবলিশ, গুগল প্লে বুকস পার্টনার সেন্টার এর মতো ই-বুক বিক্রির সাইটের মাধ্যমে।
নিজের ওয়েবসাইটে ই-বুক বিক্রি
এক্ষেত্রে আপনাকে একটি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং একটি পেমেন্ট গেটওয় অ্যাড করে নিতে হবে যার মাধ্যমে গ্রাহক আপনাকে টাকা পাঠাবে।
সাইটে ই-বুক গুলি আপলোড করতে হবে এবং অনলাইন অ্যাড চালাতে হবে। যদি আপনার ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে তার মাধ্যমেও বিক্রি করা যাবে।
ই-বুক বিক্রির সাইটের মাধ্যমে
অ্যামাজন কিন্ডল ডাইরেক্ট পাবলিশ এর মত সাইটে ই-বুক বিক্রেতা রেজিস্টার করুন এবং ই-বুক তৈরী করে আপলোড করুন।
ই-বুক বিক্রি করার সুবিধা ও অসুবিধা
যদি নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করেন তবে আপনার ই-বুক গুলিকে অনলাইনে প্রচার করতে হবে অর্থাৎ ফেসবুক বা গুগোল এ এড চালাতে হবে।
অপরদিকে অ্যামাজন এর মতো সাইটের মাধ্যমে বিক্রি করলে কোন এড চালাতে হবে না কিন্তু সামান্য কমিশন তারা আপনার বিক্রি হওয়া ই-বুকের টাকা থেকে কেটে নিয়ে বাকিটা আপনাকে দেবে।
ছবি বিক্রি (seiling photos)
ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় হলো ছবি বিক্রি।
ছবি বিক্রির কথা শুনে আপনি ভাবছেন যে ছবি তুলতে হলে ক্যামেরার প্রয়োজন।
কিন্তু না আপনার মোবাইল ফোনটি যদি ছবি তোলার উপযোগী হয় তবে আপনার মোবাইল ফোনটির মাধ্যমে দারুনভাবে ছবি তুলে সেই ছবি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
আপনি যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল থেকে ছবি তুলে সেই ছবি বিক্রি করতে পারেন।
আপনার আরেকটি প্রশ্ন আপনার মনে আসতে পারে, কি ছবি তুলেবেন।
তবে আমি আপনাকে বলছি আপনি যখন বাইরে বেড়াতে যান তখন প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলির ছবি তুলুন অথবা বাড়িতে থাকলেও ছবি তুলুন।
আপনি যদি আঁকা, রান্না, খেলাধুলা, বিনোদন বা অন্য কিছু পছন্দ করেন সেই ভালো মুহূর্তগুলির ছবি আপনার মোবাইলে তুলে নিতে পারেন।
অর্থাৎ আপনি যদি কোন কিছু রান্না করে করেন সেই রান্নাটি একটি পাত্রে ভালো ভাবে সাজিয়ে নিয়ে আপনার মোবাইল ফোনটিতে ভালো মানের একটি ছবি তুলে সেই ছবিটিও বিক্রি করতে পারেন।
কারা আপনার ছবি কিনবে?
বর্তমানে অনলাইনে যারা কাজকর্ম করে থাকেন তাদের ছবি খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস। অনলাইনে কোন পণ্যের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করতে হলে ছবির প্রয়োজন হয়।
যারা ব্লগিং করেন অর্থাৎ ব্লগিং করে টাকা আয় করেন তাদেরও ছবির প্রয়োজন হয়।
ছবি বিক্রি করে কত আয় করবেন
বিভিন্ন ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটি ছবির উপর 20 থেকে 50 US Cents এর মতো আয় করা সম্ভব।
যদি আপনার ছবি বিরল ও উচ্চ মানের হয় তবে এর মূল্য US $2 থেকে US $5 এর মধ্যে হতে পারে।
ছবি বিক্রি শুরু করতে কি প্রয়োজন
যদি আপনি ছবি বিক্রি কে আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তবে তার জন্য আপনাকে ফটোগ্রাফি শিখতে হবে এবং একটি ক্যামেরাও প্রয়োজন হবে।
অন্যদিকে এটিকে আপনি পার্ট টাইম অনলাইন ইনকাম এর হিসাবে রাখলে আপনার মোবাইল ফোনটিতে কিছু অ্যাপ ইন্সটল করে ভালো মানের ছবি তুলে সেই ছবিগুলো বিক্রি করে অন লাইন ইনকাম শুরু করা যাবে।
কিভাবে ছবি বিক্রির শুরু করবেন
আমি অনেকক্ষণ ধরেই বলছি ছবি বিক্রির কথা কিন্তু ছবিগুলি বিক্রি কোথায় করবেন?
ছবিগুলি বিক্রির জন্য অনেকগুলি সাইট আছে, তার মধ্যে আপনি বিক্রেতা হিসাবে একাউন্ট তৈরি করে ছবিগুলি আপলোড করে কাজ শুরু করতে পারবেন।
আমি আপনাকে কয়েকটি সাইটের বিক্রেতা হিসেবে একাউন্ট তৈরি করার জন্য বলছি যেখান থেকে আপনি ভালো মানের অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
কয়েকটি ছবি বিক্রির ওয়েবসাইট
1. Shutterstock
shutterstock একটি আমেরিকান কোম্পানি যা ছবি, গ্রাফিক্স ও ভিডিও বিক্রি করার সুযোগ করে দেয়। এটির জনপ্রিয়তা দেখে অনুমান করা যায় এতে এক মিলিয়নের বেশি নতুন ছবি আপলোড করা হয়।
link – https://submit.shutterstock.com?rid=308466022
2. 123rf
123rf এ ফটোগুলি খুব উচ্চ মূল্যের হয় যা আপনার জন্য খুব লাভজনক হবে।
ছবির মূল্যের উপর 30 থেকে 60 শতাংশ অবধি কমিশন হিসাবে পাবেন এবং এটি 44 টি দেশে উপলব্ধ আছে।
Join –https://www.123rf.com/contributors/
3. Picxy
Picxy সাউথ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ছবি বিক্রির ওয়েবসাইট। এখানে ছবি বিক্রি করে প্রত্যেক ছবিতে 15 টাকা করে পাবেন।
এখানে বাড়তি উপার্জন করার উপায়ও আছে, এখানে সাইনআপ করলে সেগুলি আপনি দেখতে পারবেন।
তাছাড়া এই সাইটে সাইনআপ করলেই আপনাকে সরাসরি 50 টাকা দেওয়া হবে যা আপনি পরবর্তীকালে withdrawal করে নিতে অর্থাৎ টাকাটা তুলে নিতে পারবেন।
link – https://upload.picxy.com/signup/?ref=FZELSPY
4. Canstock photo
ছবি বিক্রি ছাড়াও এখানে রেফারেল প্রোগ্রাম আছে অর্থাৎ আপনি যদি কাউকে ছবি কিনতে বা বিক্রি করতে সুপারিশ করেন তার উপরেও আপনি টাকা পাবেন। যা Picxy তে উপলব্ধ আছে।
সুবিধা ও অসুবিধা
ছবি বিক্রি করতে কিছু অসুবিধা নেই কিন্তু সুবিধা আছে।
কারণ এটি এমন একটি অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি যেখানে আপনাকে ছবি বিক্রি শুরু করতে কোন টাকার বিনিয়োগ করতে হয় না।
সেই সাথে এটি মোবাইল ফোন দিয়ে খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন।
গেম খেলে টাকা উপার্জন (earn money online playing game)
আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যে আপনি গেম খেলে উপার্জন করতে পারবেন।
হ্যাঁ, আপনি শুধুমাত্র গেম খেলে প্রকৃত অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
গেম খেলে টাকা উপার্জন শুরু করতে কি কি প্রয়োজন
এখন থেকে আমি মনে করি আপনি গেম খেলে অর্থ উপার্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিন্তু এটি মনে করবেন না গেম দ্বারা উপার্জন শুরু করার জন্য আপনার একটি উচ্চমানের পিসি বা ল্যাপটপের প্রয়োজন আছে।
একটি ইন্টারনেট সংযোগ সহ একটি সাধারণ স্মার্টফোন এখানে একমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস। আপনি আজ গেমস খেলে উপার্জন শুরু করতে পারেন, গেম থেকে আয় করার তিনটি উপায় আছে, যথা:-
1. টুর্নামেন্ট খেলে বা ফ্যান্টাসি স্পোর্টস এর মাধ্যমে উপার্জন করুন।
2. গেম ডাউনলোড করুন এবং খেলুন এবং ইউটিউবে বা অন্য কোন ভিডিও প্লাটফর্মে গেমপ্লে গুলি দেখান।
আপনি যদি পাবজি, ফ্রি ফায়ার, ফোর্টনাইট ইত্যাদি গেম খেলতে অভ্যস্ত হন তবে আপনি এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন।
তবে আপনাকে এই গেমগুলিতে খুব বিশেষজ্ঞ হতে হবে কারণ একটি টুর্নামেন্ট জয় করা সহজ নয়। অনেক বিশেষজ্ঞ থাকবে।
আপনাকে তাদের মধ্যে 1 নম্বর হতে হবে এবং তবেই আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে। এটি আসলে নতুনদের জন্য একটি খুব কঠিন উপায়।
2 নম্বর পদ্ধতি প্রত্যেকের জন্য কার্যকর। আপনাকে শুধু আপনার স্মার্টফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে যা গেম ডাউনলোড এবং খেলার জন্য অর্থ প্রদান করে
সুবিধা ও অসুবিধা
ফ্যান্টাসি স্পোর্টসগুলি বর্তমানে খুবই প্রতিযোগিতামূলক হয়ে গিয়েছে। তাই আপনাকে কোন প্রতিযোগিতামূলক গেমে এ খেলা শুরু করতে হবে।
যদি আমি ফ্যান্টাসি স্পোর্টস Dreem11 এর কথা বলি তবে এটি বর্তমানে খুবই প্রতিযোগিতামূলক গেম অপরদিকে Jeet11 এ প্রতিযোগিতার হার অপেক্ষাকৃত কম।
প্রশিক্ষক ও পরামর্শ প্রদান
প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ পরিষেবা দেবার মাধ্যমে প্রচুর টাকা লাভ করা যায়।
কিন্তু এই ধরনের ব্যবসা শুরু করার জন্য, আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ব্যবসা, কম্পিউটার বেসিক ব্যবহার ইত্যাদির মতো কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, আমি শিভম সেনকে নিচ্ছি যিনি একজন মোটিভেশন স্পিকার, ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা এবং একজন Youtuber.
এনাকে আমি প্রথমে ইউটিউবে দেখি। ইনি ইউটিউবে ব্যবসাভিত্তিক বিভিন্ন আইডিয়া শেয়ার করতেন। তাছাড়া ইনি ব্যবসায়িক পরামর্শ এবং বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করেন।
এনার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য, এনার সাথে কথা বলার ইচ্ছা হয়। তাই কথা বলার জন্য আমি কল বুক করি।
আমার সাথে ওনার 30 মিনিটের মত কথা হয়েছিল। এর জন্য আমাকে 300 টাকা দিতে হয়েছিল। যদিও এই সময়ের মধ্যে আমি যা শিখেছিলাম তার দাম 300 টাকারো বেশি।
উনি যে আমার সঙ্গে টাকার বিনিময় কিছুক্ষণ কথা বললেন এটাকে পরামর্শ প্রদান বলা হয়। এই কাজটি আপনিও করতে পারবেন।
এভাবে কত টাকা ইনকাম করা যায়
আমার সাথে তার কথা এক থেকে দেড় বছর আগে হয়েছিল অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন আজকের সময় উনার সাথে কথা বলতে আপনাকে কত টাকা দিতে হবে।
এর থেকে ভেবে দেখুন আপনি যদি নিজেকে একজন পরামর্শদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন তবে আপনি কত টাকা ইনকাম করবেন।
আপনি কিভাবে শুরু করবেন
আপনি একটি কোর্স তৈরি করতে পারেন অথবা অনলাইনে লাইভ প্রশিক্ষণ দিতে পারেন এবং আপনার কোর্সের মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।
তাছাড়া আপনাকে আপনার বিষয় অনুযায়ী ইউটিউবে ভিডিও করতে হবে যার ফলে লোকে আপনাকে চিনবে এবং আপনার সাথে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করবে।
আপনি যদি পরামর্শ প্রদান এবং অন্যদের সাহায্য করতে পারেন তাহলে আপনার এখন থেকে পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ শুরু করা উচিত।
অনলাইনে কোর্স বিক্রি
কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা লাভ করা যায়। কারণ এই কোর্সে একবার তৈরি করে তাকে বার বার বিক্রি করা যায়।
একজন প্রশিক্ষক ও পরামর্শ প্রদানকারীর মতো এই ধরনের ব্যবসা শুরু করার জন্য, আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ব্যবসা, কম্পিউটার বেসিক ব্যবহার ইত্যাদির মতো কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
এমনকি আপনি যদি রান্না বিষয়ক কোর্স তৈরি করে বিক্রি করার ইচ্ছা করেন তো তাও করতে পারবেন।
কিন্তু এই বিষয়গুলি নিয়ে পরামর্শ প্রদানকারীর মত অভিজ্ঞ না হলেও হবে।
কারা আপনার কোর্স কিনবে
ধরুন আপনি কম্পিউটার বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। আপনি কম্পিউটার বেসিক ব্যবহার নিয়ে একটি কোর্স তৈরি করেছেন।
এখন যারা নতুন কম্পিউটার শিখতে চায় তারা আপনার কোর্স কিনবে।
কোথায় ও কিভাবে কোর্স বিক্রি করবেন
দু’ভাবে আপনি কোর্স বিক্রি করতে পারবেন। যথা:- 1. কোর্সের মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে এবং 2. নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে কোর্স আকারে ভিডিও তৈরি করে মার্কেটপ্লেস এ আপলোড করতে হবে।
অপরদিকে নিজের ওয়েবসাইটে বিক্রি করলে ফেসবুক এবং গুগলের মাধ্যমে কোর্সগুলোতে অ্যাড চালাতে হবে।
কোর্স বিক্রি করতে কি কি শিখতে হবে
1. ভিডিও তৈরি।
2. ভিডিও এডিটিং।
3. অ্যাডস তৈরি।
4. কোর্সের প্রচার।
সুবিধা ও অসুবিধা
যদি Udemy এর মতো মার্কেটপ্লেসে কোর্স বিক্রি করেন তবে আপনাকে কোর্স আপলোড করে দিলেই হবে। কোন ভাবে ম্যানেজ করার প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু তারা আপনার বিক্রি হওয়া কোর্সের দামের 50% অবধি দাবি করবে।
অপরদিকে নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোর্স বিক্রি করলে আপনাকে ওয়েবসাইট বানানো জানতে হবে।
তাছাড়া বিভিন্ন ads তৈরি করে ফেসবুক এবং গুগলের মাধ্যমে কোর্সের প্রচার করতে হবে।
ভিডিও মার্কেটিং সফটওয়্যার ম্যানেজ থেকে শুরু করে ads তৈরি, প্রচার করা সবকিছুই আপনাকে করতে হবে।
ফ্রীল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং বিগত বছর থেকে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি।
এখানে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সহজ কাজ আপনাকে অনলাইন মাধ্যমে করতে দেওয়া হবে।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হতে হবে যেমন ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ম্যানেজমেন্ট, ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
তারপর পছন্দ মত প্ল্যাটফর্মের উপর কাজ জন্য সন্ধান করতে পারেন। যেমন- Upwork , Fiver , freelancer.com ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং কী
ফ্রিল্যান্সিং হল একটি চুক্তিভিত্তিক পেশা যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার পরিবর্তে, ব্যক্তি তার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বেশ কিছু ক্লায়েন্টকে সেবা প্রদান করেন।
সহজ কথায়, ফ্রিল্যান্সিং মানে ঘরে বসে ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করা।
ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে শুরু করার জন্য হাজার হাজার বিষয় রয়েছে। আমি আপনাকে বলবো কাজগুলি একবার দেখে নিন এবং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী হন তবে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি বিষয় নির্বাচন করুন। যেমন- ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ম্যানেজমেন্ট, ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
কি কি শিখতে হবে
1. একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করুন (ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য প্রচুর বিষয় রয়েছে)।
2. কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ করুন।
3. আপনার কাজের প্রতি নিবেদিত হন।
4. সৃজনশীল হওয়ার চেষ্টা করুন।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সার হবেন
1. ফ্রিল্যান্সার বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
2. বিশ্বাসযোগ্য শব্দ দিয়ে আপনার প্রোফাইল কাস্টমাইজ করুন।
3. আপনার প্রোফাইলে কিছু ডেমো প্রকল্প যোগ করুন।
4. কাজের সন্ধান করুন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথেই প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে। তাই আপনাকে এমন একটি বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে যাতে প্রতিযোগিতা কম।
তাছাড়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি যেমন- Fiver।
অপরদিকে Upwork হল নতুনদের জন্য কাজ খোঁজার সেরা জায়গা।
বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ
ঘুমিয়ে টাকা উপার্জন করার সেরা মাধ্যম হল ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েন ব্যাবসা। এখানে আপনাকে মুনাফা অর্জনের জন্য আপনার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
এই বিনিয়োগ একটি ব্যাংকের আমানতের মত যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনার টাকা ধরে রাখবেন এবং ভালো পরিমাণে কমিশন পাবেন।
ক্রিপ্টোর ক্ষেত্রে, আপনি 1 ঘন্টা বা এমনকি একটি মাস বা বছর পর্যন্ত লম্বা সময় টাকা রাখতে পারেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েন কী
ক্রিপ্টোকারেন্সি হল একপ্রকার ডিজিটাল কারেন্সি।
এই প্রকারের কারেন্সি মূলত অনলাইন ওয়ালেটে রেখে অনলাইন লেনদেনের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এটি একটি ট্রেডিং পদ্ধতি তাই এটি সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাজারে অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে যেমন- Bitcoin, Etherium, Dogecoin, Litecoin , Bitcoin cash ইত্যাদি। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হল বিটকয়েন।
ইউরোপ এবং অন্যান্য বিদেশী দেশের লোকেরা ক্রিপ্টোকারেন্সি তে তাদের বিনিয়োগকে খুব কার্যকরভাবে ব্যবহার করছে।
কোথায় এবং কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনবেন
আপনাকে যা করতে হবে তা হল coinbase, paxful, coindcx, coinswitch ইত্যাদির মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং অ্যাপে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
অ্যাপে টাকা জমা করুন এবং Bitcoin(BTC), Etherium(ETH), Litecoin(LTC) সহ বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করে ট্রেড করা শুরু করাতে পারেন।
কি কি শিখতে হবে
• ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং –
এটি যেকোনো একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং অ্যাপের মাধ্যমে করা যাবে।
• বাজার গবেষণায় –
ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করার একটি অ্যাপ এ একাউন্ট খোলার পর আপনাকে বেছে নেওয়া কয়েকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ওপর খেয়াল রাখতে হবে কখন এর দাম ওঠা-নামা করছে।
• বিনিয়োগ –
দাম কমে গেলে আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে হবে এবং যখন দাম বেড়ে যাবে তখন বিক্রি করতে হবে। আপনি এটি করে একটি ভাল পরিমাণ লাভ পেতে পারেন।
• ধৈর্য –
যদি আপনি ভেবে থাকেন আজকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে কালকে ভালো মানের টাকা উপার্জন করবেন সেটা সম্পূর্ণ ভুল।
আপনার ইনকাম হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলির দামের ওঠা-নামার ওপর নির্ভর করে। তাই যেই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ইনভেস্ট করবেন তার দাম ওঠা পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
সুবিধা ও অসুবিধা
দাম সবসময়ই ওঠানামা করে ধরুন আপনি যদি আজ 5000 টাকা মূল্যের যেকোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনেন তা কালকে তার দাম কমে 4000 টাকা হয়ে যেতে পারে।
আবার দুইদিন পর তার দাম বেড়ে 7000 টাকা হয়ে যেতে পারে।
যদি আপনি 0% জ্ঞানের সাথে ক্রিপ্টোতে ট্রেড করেন তাহলে আপনার টাকা হারানোর সম্ভাবনা বেশি তাই বিনিয়োগ করার আগে ইউটিউবে ভিডিও দেখে অথবা আর্টিকেল পড়ে এই বিষয়ে শিক্ষা নেবেন।
মনে রাখবেন এটা কোন ধরনের জুয়া নয়। এটি একটি ব্যবসা হিসাবেও বিবেচিত হয়।
অনলাইনে পন্য বিক্রি (online seller)
বর্তমানে আমরা মোবাইল ব্যবহার করার সাথে সাথে অনলাইনে পণ্য কিনতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।
গুগলের সার্চ করলে অথবা Amazon বা eBay-এর মতো ই-কমার্স সাইটে বিভিন্ন জিনিসের ছবি দেখতে পাওয়া যায় যা অর্ডার করলে বাড়িতে দিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু এটা কি ভেবে দেখেছেন যে পণ্যগুলি আমরা গুগলের সার্চ করলে পাই অথবা অ্যামাজনের মত সাইটে বিভিন্ন জিনিসের ছবি দেখতে পাই যা অর্ডার করলে বাড়িতে দিয়ে যাওয়া হয়।
অনেকেই ভেবে থাকেন গুগোল অথবা অ্যামাজন এই পণ্যগুলি নিজেরা বিক্রি করে। আসলে তারা মাত্র 10% পণ্য বিক্রি করে থাকে।
বাকি পণ্যগুলি বিক্রি করে অনলাইন বিক্রেতারা (online seller)। তাই আপনিও একজন অনলাইন বিক্রেতা হিসাবে অনলাইনে টাকা আয় শুরু করতে পারেন।
ধরুন আপনি একজন সাধারণ কাপড়ের বিক্রেতা অর্থাৎ আপনার একটি দোকান আছে যেখান বিভিন্ন রকমের ব্যক্তি আপনার দোকানে আসে।
আপনি তাদের আপনার আগে থেকে কিনে রাখা কাপড় দেখান এবং তাদের সেটি বিক্রি করে থাকেন।
বর্তমানে আপনি এটি অনলাইন মাধ্যমে করতে পারবেন। আপনি আপনার নিজের একটি ই-কমার্স সাইট তৈরি করে অথবা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাপড় বা অন্য যেকোনো পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
আপনি কিভাবে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করবেন
অনলাইনে পণ্য বিক্রি আপনি তিন রকম পদ্ধতিতে করতে পারবেন –
১. অনলাইন মার্কেটপ্লেস(যেমন- Amazon, eBay)।
২. ড্রপ শিপিং।
৩. নিজের ই-কমার্স সাইট তৈরি করে।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস (Amazon, eBay)
অনলাইন মার্কেটপ্লেস কি – একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস (online marketplace) হল একটি ই-কমার্স সাইট যা বিক্রেতাদের ক্রেতাদের সাথে সংযুক্ত করে। এর সমস্ত লেনদেন ওয়েবসাইটের মালিক দ্বারা পরিচালিত হয়।
যেসব গ্রাহক পণ্য ও সেবা কিনতে চান তাদের কাছে পৌঁছাতে কোম্পানিগুলো অনলাইন মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে Amazon, eBay ইত্যাদি।
কিভাবে বিক্রি শুরু করবেন
মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রি করতে সেখানে seller account তৈরি করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনি যে দেশে বসবাস করেন সেই দেশে উপলব্ধ মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরী করতে হবে।
এতে বিক্রি করা খুবই সহজ হয়। বর্তমানে অ্যামাজন বিশ্বের সবচেয়ে বড় online marketplace. যদি একজন আমেরিকান অ্যামাজনে বিক্রি করতে চায় তাকে amazon.com -এ seller account তৈরি করতে হবে।
এই রকম UK, USA, Canada সহ 18 টি দেশে অ্যামাজনের মার্কেটপ্লেসে আছে।
অপরদিকে বাংলাদেশে সহ কিছু দেশে এখনো অ্যামাজন উপলব্ধ নয়। এক্ষেত্রে দারাজ (Daraz) -এর মত মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারবেন
কিভাবে বিক্রি শুরু করবেন
আমি নিজে একজন amazon.in এর বিক্রেতা (seller)। এক্ষেত্রে amazon.in এ বিক্রি শুরু করতে মোবাইল নাম্বার, ইমেইল আইডি, PAN number, GST number নিয়ে seller account তৈরি করতে হবে।
একটি ট্রেডমার্ক রেজিস্টার করতে হবে অথবা কোন ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্ট এর authorised distributor এর থেকে authorisation letter সহ পণ্য কিনে নিয়ে আসতে হবে। সেই পণ্য গুলির ছবি সহ সম্পূর্ণ details আপলোড করতে হবে (cataloging).
তাছাড়া আঞ্চলিক পণ্যগুলির জন্য ব্র্যান্ড রেজিস্টার না করেও (Generic) বিক্রি করা যায়। এতে ট্রেডমার্ক রেজিস্টার করতে হয় না।
Online marketplace -এ বিক্রি করার সুবিধা
• আয়ের একটি অতিরিক্ত উৎস।
• মার্কেটিং খরচ কমায়।
• বিরাট সংখ্যক গ্রাহকের কাছে আপনার পণ্য পৌঁছে যায়।
• এটি আপনার ব্যবসা আন্তর্জাতিকীকরণের সুযোগ করে দেয় ।
• গ্রাহকরা দামের তুলনা করাতে পারে তাই এটি পণ্য বিক্রির একটি দুর্দান্ত উপায়।
• আপনাকে 24/7 কাজ করার অনুমতি দেয়।
• আপনার ব্র্যান্ড এবং গ্রাহকদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করে।
• অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে গ্রাহককের পন্য ক্রয় করার সম্ভাবনা বেশি। পণ্য কেনার সময় গ্রাহকেরা বেশি আত্মবিশ্বাসী বোধ করেন কারণ তারা ভাবে এটি সেই মার্কেটপ্লেসটি তাদেরকে পণ্যটি পাঠাচ্ছে।
• অর্ডার এলে নিজে থেকেই আপনার থেকে পণ্যটি ডেলিভারি করে দেয়। যেমন- অ্যামাজনে কোন অর্ডার এলে আপনার থেকে সরাসরি পণ্যটি নিয়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয় এবং পেমেন্ট সংগ্রহ করে নিয়ে আসে ফলে এটি খুব সহজেই করতে পারবেন ।
• মার্কেটপ্লেসগুলিতে কিছু পণ্যের উপর খারাপ রেটিং দেখতে পাবেন কারণ কিছু বিক্রেতা seller account -এ পণ্যের ছবি আপলোড করার সময় যে ছবি দেখায় তা ডেলিভারি করার সময় পাঠায় না।
ফলে তার পণ্যের উপর খারাপ রেটিং পরে এবং অবশেষে সেটি বিক্রি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি কাজে লাগান অর্থাৎ সততার সঙ্গে করেন তবে ভাল রেটিং পাবেন যে রেটিং দেখে আরো বেশি পরিমাণে গ্রাহক আপনার পণ্যটি কিনবে।
Online marketplace -এ বিক্রি করার অসুবিধা
• ব্যবসায়ীদের অনলাইন মার্কেটপ্লেস প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হওয়া পণ্যের কিছু শতাংশ ফি হিসাবে দিতে হবে।
• বিক্রি হওয়া পণ্যের ওপর কিছু শতাংশ ফি দিতে হয়। তাই লাভ কিছুটা কম হয়।
• ডেলিভারি করে দেবার জন্য একটু বেশি ফি দিতে হয়। যদিও আপনাকে নতুন করে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে ডেলিভারি করার জন্য যোগাযোগ করতে হয় না।
• বর্তমানে কিছু পণ্যের উপর প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে।
• এই ব্যবসা শুরু করতে একটু বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়।
ড্রপশিপিং (dropshipping)
ড্রপশিপিং কি- ড্রপশিপিং একটি ব্যবসায়িক মডেলকে বোঝায় যেখানে ব্যবসা করার জন্য পণ্য স্টক না রেখে অর্ডার সংগ্রহ করে।
যখন গ্রাহক একটি পণ্যের অর্ডার দেয় তখন অর্ডারটি একটি পন্য সরবরাহকারী সংস্থাকে অর্ডারটি দেওয়া হয় যিনি অর্ডার করা পণ্যটি সরবরাহ করেন।
এখানে আপনার লাভ কি?
আপনি চাইলে ড্রপশিপিং করার জন্য একটি সাইট তৈরি করাতে পারেন। শপিফাই (Shopify) এর ওপর এই সাইটটি তৈরী করতে পারেন।
পন্য সরবরাহকারী সংস্থার পণ্যগুলি আপনার সাইটে বেশি দামে সংযুক্ত করতে পারেন ফলে যে অর্ডার আসবে তার দ্বারা আপনার লাভ হবে।
যদি পন্য সরবরাহকারী সংস্থার পণ্যগুলির দাম $ 10 হয় তবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে $ 15 বা তার বেশি রাখতে পারেন (স্থানীয় মূল্য অনুযায়ী)।
সবশেষে Facebook এবং Google এ অ্যাড চালিয়ে যত বেশি বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি লাভ করবেন।
অতএব, ব্যবসা করার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত পণ্য/সেবা প্রদানকারী সঠিক সরবরাহকারীদের খুঁজে বের করা খুবই প্রয়োজনীয়। এরকম কয়েকটি পন্য সরবরাহকারী সংস্থা হল- AliExpress, Spocket, SaleHoo ইত্যাদি।
ড্রপশিপিং এর সুবিধা:
• ব্যবসা শুরু করার জন্য ন্যূনতম বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় কারণ কোন পণ্য এবং তালিকা আগে থেকে কেনা হয় না।
• যে কোন ভৌগলিক অবস্থান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে এই অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে পরিচালনা করা যায়।
• সম্ভাব্য গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরণের পণ্য সরবরাহ করা যেতে পারে কারণ সেই সময়ে ব্যবসার সাথে পণ্যগুলি শারীরিকভাবে উপলব্ধ হওয়ার প্রয়োজন নেই।
• ড্রপশিপিং ব্যবসা বাড়িয়ে তোলা সহজ কারণ পণ্যগুলি সরবরাহকারীরা সরবরাহ এবং পরিবহন করে থাকে।
ড্রপশিপিং এর অসুবিধা:
• খুচরা বিক্রেতাকে তার ব্যবসাকে কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য সরবরাহকারী এবং গ্রাহকের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রাখতে হবে।
• বাজারে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতার কারণে ড্রপশিপিং ব্যবসায় মুনাফা কম।
• যেহেতু ব্যবসায়ীকে তার নিজস্ব ইনভেন্টরি বজায় রাখতে হয় না, তাই সরবরাহকারীর কাছ থেকে প্রাপ্ত ইনভেন্টরির পরিচালনা এবং ট্র্যাক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
• শিপিং এবং চার্জ সম্পর্কে সরবরাহকারীদের সাথে সময়ে সময়ে আলোচনা করা উচিত।
• যদি কোন সরবরাহকারীর সরবরাহকৃত পণ্যের গুণমান কম থাকে, তাহলে গ্রাহকের অভিযোগের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীকে এর জন্য দায়িত্ব নিতে হবে।
• এই ব্যবসা মূলত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে প্রচলিত নয়।
USA, Canada -এর মতো দেশে প্রচলিত তাই ড্রপশিপিং করতে সেই দেশেই পন্যগুলি বিক্রি করতে হবে।
নিজের ই-কমার্স সাইট (e-commerce)
এক্ষেত্রে আপনাকে নিজের একটি E-Commerce site তৈরি করতে হবে যা WordPress -এ তৈরি করালেও সম্ভব এবং বিভিন্ন পণ্য সংযুক্ত করতে হবে।
পেমেন্ট গেটওয়ে সংযুক্ত করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট সংগ্রহ করার জন্য। কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে তারা আপনার পন্যগুলি গ্ৰাহকের কাছে পৌঁছে দেবে।
সবশেষে আপনার ই-কমার্স সাইটের এবং পন্যগুলির অনলাইন প্রচার অর্থাৎ Google এবং Facebook ad চালিয়ে অর্ডার সংগ্রহ করতে হবে।
ইকমার্সের সুবিধা:
• Ecommerce বিক্রেতা বা গ্রাহকের ভৌগোলিক অবস্থান নির্বিশেষে পণ্য বিক্রয় এবং ক্রয়কে সহজতর করে।
• এটি গ্রাহকের ন্যূনতম প্রচেষ্টার সাথে পণ্য দ্রুত বিতরণ নিশ্চিত করে। গ্রাহকদের অভিযোগও দ্রুত সমাধান করা যায়।
• 24/7 কাজ করা যায়।
ইকমার্সের অসুবিধা:
• WordPress ব্যবহার করে ওয়েবসাইট সেটআপ এবং কাস্টমাইজেশন করা জানতে হবে।
• একটি ecommerce ব্যবসা স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণের সাথে জড়িত খরচ অনেক বেশি।
• গ্রাহকের তথ্যের নিরাপত্তা আরেকটি বড় উদ্বেগ যা ইকমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে সমাধান করা প্রয়োজন।
• এই ব্যবসায় বিভিন্ন সমস্যা আছে যেমন অর্ডার ডেলিভারির সমস্যা, ভুল ডেলিভারি, দেরিতে ডেলিভারি ইত্যাদি যা গ্রাহকে অসন্তুষ্ট করে।
সর্বশেষ কথা
আমার মনে হয় কোন ব্যক্তির পক্ষে একসাথে সব পদ্ধতির মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব নয়।
তাই আপনি যেকোনো দুটি বা তিনটি বিষয়ের উপর আপনার অনলাইন ইনকামের যাত্রা শুরু করতে পারেন।
যদি আমার কথা বলেন, আমি বলবো ব্লগিং শুরু করতে কারণ এই ব্লগিংয়ের মাধ্যমেই এফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing) করতে পারবেন। সেই সাথে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি প্রমোট করতে পারবেন।
অপরদিকে, কোন টাকা বিনিয়োগ না করে ইনকাম করতে চাইলে ছবি বিক্রি এবং ই-বুক বিক্রি করতে পারেন। তাছাড়া ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ফ্রি টাকা ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
আমি আবারো বলবো যে আপনি কিছু শুরু করার আগে যথেষ্ট চিন্তা করুন। যাত্রার মাঝখানে প্রচুর লোক বিরক্ত এবং হতাশ হয়।
আপনাকে তিন থেকে ছয় মাস এই বিষয়টির ওপর কাজ এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা চালিয়ে যেতে হবে। তাই আমি আপনাকে কিছু শুরু করার আগে বিবেচনা করতে বলছি।
আরেকটা জিনিস!
আসলে জীবনের সবকিছুই কঠিন। এক পয়সা আয় করতে হলে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।
পরিশ্রম ছাড়া কিছুই অর্জন করা যায় না।
আমি আমার সাধ্যমত বোঝাবার চেষ্টা করেছি। অনলাইনে আয়ের বাস্তবতা বোঝার জন্য এখন বাকিটা আপনাকেই অন্বেষণ করতে হবে।
আপনি যদি মনে করেন যে আমি এই বিষয়গুলিতে কিছু বলতে বাকি রেখেছি তবে দয়া করে আমাকে জানান।
অথবা আপনার যদি অন্য কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে মন্তব্য করতে ভুলবেন না।